IQNA

ভিডিও | আব্দুল বাসিতের সুললিত কণ্ঠে হজের আয়াতের তিলাওয়াত

তেহরান (ইকনা): হজের মৌসুমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশরের প্রসিদ্ধ ক্বারি আব্দুল বাসিতের হজের আয়াত তিলাওয়াত করার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।

এই ভিডিওতে বিশ্বখ্যাত ক্বারি আব্দুল বাসিত সূরা বাকারার ১৯৬ থেকে ২০২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করেছেন।


وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَیْسَرَ مِنَ الْهَدْیِ وَلا تَحْلِقُوا رُءُوسَکُمْ حَتَّى یَبْلُغَ الْهَدْیُ مَحِلَّهُ فَمَنْ کَانَ مِنْکُمْ مَرِیضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْیَةٌ مِنْ صِیَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُکٍ فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَیْسَرَ مِنَ الْهَدْیِ فَمَنْ لَمْ یَجِدْ فَصِیَامُ ثَلاثَةِ أَیَّامٍ فِی الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْکَ عَشَرَةٌ کَامِلَةٌ ذَلِکَ لِمَنْ لَمْ یَکُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِی الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِیدُ الْعِقَابِ ﴿١٩٦﴾

(১৯৬) এবং শুধু আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ ও উমরাহ পূর্ণ কর। যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও তবে যে কোন কুরবানির পশু যা সহজে পাওয়া যায় (কুরবানি কর)। এবং কুরবানির পশু তার স্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত মাথা মু-ন কর না। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা তার মাথায় অস্বস্তি থাকলে (মাথা মু-নের) পরিবর্তে হয় রোযা রাখবে অথবা সাদাকা দেবে অথবা কুরবানি করবে। অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে এবং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজের সঙ্গে উমরাহকে মিলিয়ে উপকার পেতে চায় (এবং তামাত্তু হজের সংকল্প করে) তার জন্য সহজলভ্য কুরবানি বিধেয় হবে এবং যে কেউ (তা) না পায় সে হজের সময় তিন দিন এবং সাতটি রোযা ফিরে আসার পর রাখবে; এভাবে দশ (দিন) পূর্ণ হবে। এ আদেশ তার জন্য যার পরিবার সম্মানিত মসজিদ (মক্কা)-এর নিকটে উপস্থিত (অধিবাসী) নয়। এবং আল্লাহকে ভয় কর, আর জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।


الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِیهِنَّ الْحَجَّ فَلا رَفَثَ وَلا فُسُوقَ وَلا جِدَالَ فِی الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَیْرٍ یَعْلَمْهُ اللَّهُ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَیْرَ الزَّادِ التَّقْوَى وَاتَّقُونِ یَا أُولِی الألْبَابِ ﴿١٩٧﴾

(১৯৭) সুবিদিত মাসে (শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ) হজ হয়। সুতরাং যে এতে (মাসগুলোতে) (নিজের ওপর) হজ আবশ্যিক করে নেবে, তবে (তার জন্য) হজে (ইহরাম হতে তার সমাপ্তি পর্যন্ত) না (স্ত্রীর সঙ্গে) সহবাস করা, আর না অবাধ্যতা (বিধান লঙ্ঘনের গুনাহ) করা, আর না কোনরূপ কলহ-বিবাদ করা বৈধ হবে। এবং তোমরা কল্যাণকর যে কাজ-ই করবে, আল্লাহ তা (উত্তমরূপে) অবহিত। এবং তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর। সাবধানতা অবলম্বন (ও আত্মসংযম) হল সর্বোত্তম পাথেয়। অতএব, হে বুদ্ধিমান লোকসকল! তোমরা আমাকে ভয় কর।


لَیْسَ عَلَیْکُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلا مِنْ رَبِّکُمْ فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْکُرُوا اللَّهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ وَاذْکُرُوهُ کَمَا هَدَاکُمْ وَإِنْ کُنْتُمْ مِنْ قَبْلِهِ لَمِنَ الضَّالِّینَ ﴿١٩٨﴾

(১৯৮) (হজের মাসে) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ (বাণিজ্যিক লাভ) কামনায় কোন দোষ নেই। অতঃপর যখন তোমরা আরাফাত হতে রওয়ানা হও তখন মাশ্য়ারুল হারাম-এর নিকট আল্লাহকে স্মরণ কর এবং যেভাবে তোমাদের পথনির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই তাঁকে স্মরণ কর যদিও তোমরা এর পূর্বে অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।


ثُمَّ أَفِیضُوا مِنْ حَیْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِیمٌ ﴿١٩٩﴾

(১৯৯) অতঃপর যেখান হতে সব লোক রওনা হয় তোমরাও (মিনার দিকে) রওনা হয়ে যাও এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর; নিশ্চয় আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।


فَإِذَا قَضَیْتُمْ مَنَاسِکَکُمْ فَاذْکُرُوا اللَّهَ کَذِکْرِکُمْ آبَاءَکُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِکْرًا فَمِنَ النَّاسِ مَنْ یَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِی الدُّنْیَا وَمَا لَهُ فِی الآخِرَةِ مِنْ خَلاقٍ ﴿٢٠٠﴾

(২০০) অতঃপর যখন তোমাদের (হজের) নির্দিষ্ট আমলসমূহ সম্পন্ন করে নেবে, তখন তোমরা এমনভাবে আল্লাহকে স্মরণ করবে যেরূপে তোমরা তোমাদের পিতৃ-পুরুষদের স্মরণ করে থাক; বরং তা অপেক্ষাও অধিক স্মরণ কর। মানুষের মধ্যে এমন কিছু সংখ্যক লোক আছে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের (যা দেওয়ার তা) ইহকালেই দিয়ে দিন। বস্তুত পরকালে তাদের কোন অংশ নেই।

 

وَمِنْهُمْ مَنْ یَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَفِی الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿٢٠١﴾

(২০১) এবং তাদের মধ্যে কতিপয় এমনও (বান্দা) আছে যারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ইহকালেও কল্যাণ দান করুন এবং পরকালেও; আর জাহান্নামের শাস্তি হতে আমাদের রক্ষা করুন।’

أُولَئِکَ لَهُمْ نَصِیبٌ مِمَّا کَسَبُوا وَاللَّهُ سَرِیعُ الْحِسَابِ ﴿٢٠٢﴾

(২০২) এরা সেসব লোক যাদের জন্য তাদের উপার্জনের অংশ রয়েছে। এবং আল্লাহ অতি সত্বর হিসাব গ্রহণকারী।

iqna

captcha